বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ ডিজিটাল যুগে প্রবেশ করেছে | অর্থাৎ বর্তমান বাংলাদেশ ডিজিটাল যুগ | বর্তমানে আপনারা অনলাইনের মাধ্যমে খুব সহজেই পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে পারবেন | এমনকি ঘরে বসে আপনি নিজে নিজেই এই আবেদন সম্পন্ন করতে পারবেন | ঘরে বসে পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে কি কি ডকুমেন্ট লাগে, পাসপোর্ট করতে কত টাকা এর প্রয়োজন হয়, কিভাবে করতে হয় এই সম্পর্কে অনেকেই জানতে চান | আজকের আমাদের এই আর্টিকেলটি তৈরি করা হয়েছে পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য নিয়ে | তো চলুন পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক |
পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে
আমাদের সকলেরই জানা উচিত পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে | কেননা যদি আপনি সঠিক তথ্য না জেনে থাকেন | আর আপনি যদি অন্য কারো মাধ্যম দিয়ে পাসপোর্ট করে নিতে চান সেক্ষেত্রে আপনার কাছ থেকে কয়েক হাজার টাকা বেশি নেওয়া হতে পারে | এছাড়াও ধোকার সম্মুখীন হতে পারেন | সে কারণে পাসপোর্ট করতে কত টাকার প্রয়োজন হয় তা আমাদের সকলেরই জেনে রাখা উচিত |
পাসপোর্ট করতে মূলত বিভিন্ন ক্যাটাগরির জন্য বিভিন্ন রকম টাকা নেওয়া হয়ে থাকে | পাসপোর্টের কি চার হাজার পঁচিশ টাকা থেকে শুরু করে ১৩,৮০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে | আর আপনি যদি বিদেশ থেকে করতে চান সেক্ষেত্রে ১০০ মার্কিন ডলার থেকে শুরু করে ২২৫ মার্কিন ডলার পর্যন্ত খরচ হতে পারে | এছাড়াও বিদেশে থাকাকালীন বাংলাদেশ মিশন হতে আবেদনের ক্ষেত্রে শ্রমিক এবং ছাত্র উভয়ের ক্ষেত্রেই ৫০ মার্কিন ডলার থেকে শুরু করে ২২৫ মার্কিন ডলার পর্যন্ত খরচ হতে পারে | এ থেকে আমরা বুঝতে পারছি বিভিন্ন ক্যাটাগরি অনুযায়ী পাসপোর্ট এর ফি বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে | পাসপোর্ট এর ফি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য নিচে দেওয়া হল :-
বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পাসপোর্ট ফি
আমরা ইতিমধ্যে আলোচনা করেছি বিভিন্ন ক্যাটাগরির জন্য বিভিন্ন রকম পাসপোর্টটি নির্ধারণ করা হয়ে থাকে | যে সকল ক্যাটাগরি গুলো থাকে তা হল :-
- ৪৮ পৃষ্ঠা ৫ বছর মেয়াদে পাসপোর্ট এর জন্য একরকম পাসপোর্ট ফি নির্ধারণ করা হয়ে থাকে |
- ৪৮ পৃষ্ঠা ১০ বছর মেয়াদের জন্য একরকম |
- ৬৪ পৃষ্ঠা ৫ বছর মেয়াদের জন্য একরকম |
- ৬৪ পৃষ্ঠা ১০ বছর মেয়াদের জন্য একরকম |
বিদেশীদের ক্ষেত্রেও ঠিক একই ভাবে পরিবর্তন হয়ে থাকে | তো চলুন আমরা আমাদের দেশ থেকে পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করলে কত টাকা কোন ক্ষেত্রে খরচ হবে সেই সম্পর্কে জেনে আসি |
৪৮ পৃষ্ঠা ৫ বছর এর জন্য পাসপোর্ট ফি
আপনি যদি ৪৮ পৃষ্ঠার পাঁচ বছর মেয়াদ এর পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করেন সেক্ষেত্রে আপনার খরচ হবে ৪০২৫ টাকা থেকে শুরু করে ৮ হাজার ৬২৫ টাকা | আপনারা অনেকেই ভাবতে পারেন এত পরিবর্তন কেন | তো চলুন সেটা জেনে আসি |
- আপনি যদি নিয়মিত বিতরণের জন্য আবেদন করেন সেক্ষেত্রে আপনার খরচ হবে ৪০২৫ টাকা | অর্থাৎ এক্ষেত্রে আপনি সাধারণ প্রক্রিয়ায় আপনার পাসপোর্টটি হাতে পাবেন |
- আর আপনি যদি জরুরী এর জন্য আবেদন করেন সে ক্ষেত্রে আপনার খরচ হবে 6325 টাকা |
- আর অতীব জরুরী বিতরণ এর জন্য আবেদন করতে খরচ হবে ৮ হাজার ৬২৫ টাকা |
৪৮ পৃষ্ঠা ১০ বছর মেয়াদের পাসপোর্ট ফি
যদি আপনি 48 পৃষ্ঠা ১০ বছর মেয়াদের জন্য পাসপোর্ট এর আবেদন করতে চাইলে আপনার 5750 টাকা থেকে শুরু করে ১০৩৫০ টাকা খরচ হবে | যেমন,
- নিয়মিত বিতরণের জন্য পাসপোর্ট করতে চাইলে আপনার খরচ হবে ৫৭৫০ টাকা |
- জরুরী বিতরণ এর জন্য পাসপোর্ট করতে চাইলে খরচ হবে 8 হাজার 50 টাকা |
- আর অতীব জরুরী বিতরণ এর জন্য পাসপোর্ট এর আবেদন করলে আপনার খরচ হবে 10,350 টাকা |
৬৪ পৃষ্ঠা ৫ বছর মেয়াদে পাসপোর্ট ফি
আপনারা যদি ৬৪ পৃষ্ঠার পাঁচ বছর মেয়াদ এর পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করে থাকেন সে ক্ষেত্রে আপনাদের খরচ হবে নিয়মিত বিতরণ এর জন্য ৬৩২৫ টাকা | আর জরুরি বিতরণের জন্য ৮৬২৫ টাকা | আর অতীব জরুরি বিতরণের জন্য ১২,০৭৫ টাকা |
৬৪ পৃষ্ঠা ১০ বছর মেয়াদে পাসপোর্ট ফি
৬৪ পৃষ্ঠা ১০ বছর মেয়াদের জন্য যদি আপনারা পাসপোর্ট করতে চান সে ক্ষেত্রে আপনাদের পাসপোর্ট ফি এর প্রয়োজন হবে ৮৫০ টাকা থেকে শুরু করে ১৩৮০০ টাকা | অর্থাৎ,
- নিয়মিত বিতরণের ক্ষেত্রে আবেদন করলে ৮ হাজার ৫০ টাকা প্রয়োজন হবে |
- আর জরুরী বিতরণের জন্য আবেদন করলে ১০৩৫০ টাকা প্রয়োজন হবে |
- আর অতীব জরুরী বিতরণের জন্য আবেদন করলে ১৩৮০০ টাকার প্রয়োজন হবে |
আপনারা পাসপোর্ট করতে চাইলে অবশ্যই এগুলো মনোযোগ সহকারে দেখে নিবেন | এর থেকে একটি টাকাও বেশি প্রয়োজন হবে না পাসপোর্ট করার ক্ষেত্রে | তাই আপনারা যারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে থেকে পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে চান তারা অনলাইনের মাধ্যমে খুব সহজে বিভিন্ন ক্যাটাগরি অনুযায়ী বিভিন্ন রকম ফি প্রদান করার মাধ্যম দিয়ে আবেদন করতে পারবেন | এবং খুব সহজেই পাসপোর্ট এর সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবেন |
ই পাসপোর্ট পেমেন্ট পদ্ধতি
অনলাইন এর মাধ্যমে আবেদন করার পরে আপনারা অনলাইনের মাধ্যমে খুব সহজে পেমেন্ট করতে পারবেন | অনলাইনে পেমেন্ট করার জন্য আপনারা ভিসা কার্ড, মাস্টার কার্ড, আমেরিকান এক্সপ্রেস, বিকাশ, নগদ, রকেট, উপায়, ওকে ওয়ালেট, ব্যাংক এশিয়া, ব্র্যাক ব্যাংক, ইবিএল, সিটি ব্যাংক, ইউসিবি, এবি ব্যাংক, ডিবি বিএল, মিডল্যান্ড ব্যাংক, এমবিএল রাইমবো এই সকল মাধ্যম গুলো দিয়ে আপনারা খুব সহজে অন্যের মাধ্যমে ই পাসপোর্ট পেমেন্ট করতে পারবেন |
সতর্কতা
আমরা ইতিমধ্যে আলোচনা করেছি পাসপোর্ট করতে কত টাকা খরচ হয় এবং কোন ক্ষেত্রে কত টাকা খরচ হয় সে সম্পর্কে জেনেছি | পাসপোর্ট করার জন্য এর চেয়ে বেশি অর্থের প্রয়োজন নেই | তাই আপনি যার কাছ থেকে পাসপোর্ট করে নিন না কেন এর চেয়ে বেশি টাকা দাবি করলে বাড়িতি টাকাগুলো তার পকেটে ঢুকবে এটা মনে রাখবেন | সুতরাং, সকলে সতর্ক হোন এবং অন্যদের সতর্ক করুন | পাসপোর্ট অফিসে বিভিন্ন দালাল দেখা যায় | তাদের কাছ থেকে সহযোগিতা নিতে বিরত থাকুন | সঠিকভাবে আবেদন করে সঠিক তথ্য প্রদান করবে আপনার কোন দালাল এর প্রয়োজন হবে না |